আম্ফানের তাণ্ডবে বাংলাদেশের পাঁচ উপকলীয় জেলায় ৮ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেক্স:
আম্ফানের তাণ্ডবে ২০মে বুধবার দেশের পাঁচ উপকলীয় জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যশোর জেলায় ২ জন, পটুয়াখালী জেলায় ২ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ১ জন, পিরোজপুর জেলায় ১ জন এবং ভোলা জেলায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার চানপুর গ্রামে বুধবার রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের ওপর গাছ পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী খ্যান্ত বেগম(৪৫) ও তার মেয়ে রাবেয়া (১৩)।
পটুয়াখালীতে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা লোন্দা এলাকায় নৌকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছিলেন সিপিপির চার সদস্য। এ সময় প্রবল বাতাসের বেগে নৌকা উল্টে চারজন নদীতে পড়ে গেলে সাঁতারে তিনজন তীরে আসতে সক্ষম হন। নিখোঁজ হন সিপিপির দলনেতা শাহ আলম মীর। পরে বরিশাল থেকে ডুবুরি দল কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিখোঁজ শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে।
পটুয়াখালীতে বুধবার সন্ধ্যায় রাশেদ নামের ৫ বছরের এক শিশু মায়ের সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে গায়ে পড়লে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এদিকে সাতক্ষীরা শহরের কামাননগর এলাকায় ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে করিমন বিবি (৪০) নামের এক নারী মারা গেছেন।
পিরোজপুরে ঝড়ের কারণে মঠবাড়িয়া পৌরসভার নির্মাণাধীন একটি ভবনের ওয়ালের পাশে আশ্রয় নেন শাহজাহান মোল্লা (৬০) নামের এক ব্যক্তি। ঝড়ে ওয়াল ভেঙে তার উপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করে ভোলায় রওনা দেন। রাজাপুর সুলতানীঘাটের কাছে এলে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় স্রোতের টানে ভেসে যান রফিকুল ইসলাম। ট্রলারডুবিতে তিনি নিহত হন। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এদিকে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর কচ্ছুপিয়া এলাকার রেণ্ডিগাছ ভেঙে মাথায় পড়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধ সিদ্দিক ফকির মারাত্মক জখম হন। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।