কুলিয়ারচরে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ সেলিম মাস্টারের বিরুদ্ধে
শামীম আহমেদ:
গত বৃহস্পতিবার ৪৩ নং দড়িগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়া, তারই স্কুলের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী (বয়স ১১) দড়িগাও গ্রামের মোঃ আপেল মিয়ার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি সেলিম মিয়ার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার জন্য এসেছিল, এমতাবস্থায় সুযোগ বুজে সেলিম মাস্টার মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় দড়িগাও এলাকাবাসীর কাছে মেয়েটির পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। এ নিয়ে এলাকার যুব সমাজ এলাকায় ধর্ষক সেলিম মাস্টারের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ নিয়ে সেলিম মাস্টারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আরো বহু এমন ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে যা এলাকাবাসীর সকলেই অবহিত আছে। এবং এই সব বিষয় কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সেলিম মিয়া প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে থাকে৷ এবং এই জন্যই কখনো তার বিচার করা সম্ভব হয়ে উঠে নি৷
শোনা যাচ্ছে সেলিম মিয়ের নিজ গ্রামের বাড়ি পূর্ব আব্দুল্লাহপুর যদিও, তিনি দড়িগাও গ্রামের বর্তমান মেম্বার নিজামুদ্দিন, এবং দড়িগাও স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুলের মাধ্যমে টাকা পয়সা দিয়ে উক্ত ঘটনা ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্ত মেয়ের পরিবার এভাবে চাপের কাছে মাথা নত না করে সকলকে এই বিষয় অবহিত করে।
সেলিম মিয়া তার আগের সব ধর্ষনের ঘটনা যেভাবে ধামচাপা দিয়ে আসছে এই ঘঠনা ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, এ ঘটনায় প্রশাসন এর উর্দ্ধোতন মহলের নিকট দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানান।
একজন প্রধান শিক্ষক এর চরিত্র এমন হলে ছাত্র সমাজ কি শিখবে। একবার / দুইবার নয়, বারবার তিনি এমন কান্ড ঘটাইতেছেন এবং বারবার টাকার জোরে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এটা আর হতে দেওয়া যায় না।
এই লম্পট মাস্টারের আজ বিচার না হলে আগামী দিনে অন্য একটি স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু তার ধর্ষনের শিকার হবে৷ এটি আপনার আমার আদরের বোনটি ও হতে পারে কে জানে।