ভৈরবে অসহায় স্বামী-স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
ভৈরব প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অসহায় স্বামী-স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন করেছে। ‘ভৈরবের শিবপুরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করে তারা। গত ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শিবপুর গ্রামে দম্পতির নিজ বাড়িতে রৌদ্র ইসলাম ও তার স্ত্রী শোভা ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে রৌদ্র ইসলাম জানান, গেল ২৪ সেপ্টেম্বর একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাসহ একাধিক প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় ‘ভৈরবের শিবপুরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্র্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এক কথায় সাজানো গল্প। এমন কি সংবাদটিতে আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধের নানা অভিযোগ এবং অপবাদ দেয়া হয়েছে। তারও কোন সত্যতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে রৌদ্র ইসলাম জানান, আসলে আমার জায়াগা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে আমার মামার সাথে ঝামেলা চলছে। তাছাড়া ভৈরবের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গৃহকোণের সম্পাদক আমার ফুফা হয়। তারও নজর পড়ছে আমার সম্পত্তির উপড়ে। ফলে তিনি তার নিজের পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি সাজানো ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এবং থানা পুলিশের কাছে নামে বেনামে অভিযোগ দেয়। যাতে করে আমরা বাড়ি ছাড়া হয়। আর এ সুযোগে যেন তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে।
রৌদ ইসলাম আরও জানায়, ২০০৫ সালেও আমার বাবা মারা যাবার পর আমার ফুফা তার পত্রিকায় একটি মিথ্য সংবাদ প্রকাশ করে। যেখানে আমার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তখন সেখানে তিনি সংবাদে লেখেন, আমার বড় চাচা সাইফুল ইসলাম তাকে মেরে ফেলেছেন। যাতে করে আমাদের সংসারে দ্বন্ধ ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। রৌদ্র ইসলামের দাবী, বর্তমানে তারা (স্বামী-স্ত্রী) অসহায় এবং নিরাপত্তহীনতায় ভূগছেন। এছাড়াও সংবাদের যে পুলিশ সদস্যকে টাকা দিয়ে ম্যনেজ করার কথা বলা হয়েছে। সেই পুলিশ সদস্যকে টাকা তো দূরের কথা তাকে কোন দিন দেখেননি বলেও জানান রৌদ্র ইসলাম। এদিকে ভৈরব থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ভৈরবের শিবপুরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং’ শিরনামে প্রকাশিত সংবাদটির কোন সত্যতা খুজে পায়নি। শুধু তাই নয়, সংবাদটিতে আমাকে জড়িয়েও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যার সাথে কোন দিন দেখাই হয়নি। আসলে পত্র-পত্রিকায় এই ধরণের সংবাদ সমাজে কোন দিন মঙ্গল বয়ে আনবে না। আর যারা এসব সংবাদ অর্থাৎ সাজানো ও বানোয়াট গল্পের মতো প্রকাশ করছেন, তারা নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করছেন।