ভৈরবে ডা. বাবুল আচার্য মানুষের মাঝে করোনা প্রতিষেধক বিতরণ করে বেড়াচ্ছেন
মোঃ জামাল উদ্দিন:
৪ মাস আগেও কেউ জানত না কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব। কিন্তু এখন ভাইরাসটি সারাবিশ্বের প্রায় সবকটি দেশে তাণ্ডব চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। সংক্রমিত হচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ। কেউ কোনদিন এরকম মহামারিতে এতো মৃত্যু দেখেনি। মানুষ যাদের তথ্য জানতে পেরেছি এবং অনেক সংক্রমণের খবর রয়ে গেছে অগোচরে। করোনাভাইরাসটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অর্থনীতি ধসিয়ে দিয়েছে, এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। ভাইরাস আক্রান্ত মানুষে ভরে গেছে হাসপাতালের বিছানা আর নির্জন করে দিয়েছে ব্যস্ত জনপদ। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ তার দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং বন্ধুবান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর ফলে আধুনিক জীবনযাপন এতটাই বিপর্যস্থ যে কেউ ইতিপূর্বে এরকম তাণ্ডব দেখেনি। এই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে দীর্ঘ ৩ মাস যাবত মাঠে-ঘাটে কাজ করে যাচ্ছেন ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর ঠাকুর বাড়ির বাবুল হোমিও নিকেতন এর স্বত্ত্বাধিকারী ডা. বাবুল আচার্য। তিনি করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হোমিও চিকিৎসা ব্যবস্থায় তার জানামতে আর্সেনিকাম এলবাম/৩০ করোনা প্রতিষেধক ওষুধ বিনামূল্যে মানুষের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি ভৈরব পৌরসভার মেয়র, ভৈরব থানা ও সাংবাদিকদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। তিনি তার চেনা-জানা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পিছ বোতল ওষুধ বিতরণ করেছেন। প্রতিদিন এ ওষুধ তিনি বিনামূল্যে বিতরণের জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাবুল হোমিও নিকেতন থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে ডা. বাবুল আচার্য বলেন, আমি আমার অবস্থান থেকে চেষ্টা করছি মানুষকে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে হোমিও ওষুধ খাইয়ে যাতে ভাল রাখতে পারি। সৃষ্টিকর্তা শুধু আমার জন্যই আমাকে পাঠাননি। আমার এলাকাবাসীসহ এবং দেশবাসীর প্রতিও কর্তব্য রয়েছে। এই চিন্তা চেতনা থেকে আমার সাধ্য অনুযায়ী এবং আমার জানামতে যে ওষুধটি করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজে আসবে ওই ওষুধ আমি নিজ দায়িত্বে বিনামূল্যে মানুষকে পৌঁছে দিচ্ছি। এতে যদি একজন মানুষেরও উপকার হয় আমি নিজেকে ধন্য মনে করব। যাদেরকে আমি এ প্রতিষেধক ওষুধটি দিয়েছি আপনারা মহান সৃষ্টিকর্তার নামে সেবন করুন। হয়তো বা আপনি এই মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারেন এটাই আমার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা। সরকারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, হাঁচি কাশি দিলে টিস্যু অথবা রুমাল ব্যবহার করুন। নিয়মিত হাত পরিস্কার রাখুন। বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।