ভৈরবে বিবাহিত মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা
আরিফুলইসলাম মামুন,বিশেষ প্রতিনিধি:
ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত রসুলপুর গ্রামের মো: জুয়েল গাজীর বিবাহিত কন্যা মোছা: মাসরুরা লাভলী (২০) কে একই গ্রামের রসুলপুর দক্ষিণ পাড়ার আজিজ খাঁনের একমাএ ছেলে লোকমান (২১) এবং হাবিব খাঁনের ছেলে সেলিম খাঁন ও মৃত:অহাব খাঁনের ছেলে সফর উদ্দিন খাঁন সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন অপহরণ করেছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায ভৈরব থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী মাসরুরা লাভলি নিজেই। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- গত ১৭/৭/২০২০ইং বেলা ১.৩০মি: রসুলপুর সাকিনস্হ বঙ্গশ্বর নামক স্হান থেকে তাকে অপহরণ করেন অভিযুক্তরা।
এদিকে মেয়ের বাবা জুয়েল গাজী বলেন আমার মেয়েকে গত দুবছর আগে বিবাহ দেই এবং বর্তমানে সে স্বামীর সংসার করছেন। কিন্তু এই এলাকার বখাটে লোকমান খাঁন আমার মেয়ে তার আত্মীয় বাড়ি হইতে আসার পথে কয়েকজনের সহযোগিতার মাধ্যমে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঐ দিন লোক মারফতে জানার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে বিষয়টা অবগত করি পরবর্তীতে আমি কারো কোন সহযোগী না পেয়ে ভৈরব থানায় একটি জিডি করি যার নং-৭৯০। মেয়ে কে অনেক খুঁজাখুঁজি করার পর গত ২২/৭/২০২০ইং সকাল ৭টার সময় আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলেন তাকে অন্য এক স্হানে সরিয়ে নেওয়ার সময় কৌশলে মিরারচর বাসস্ট্যান্ড থেকে পালিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্হান করছি তাড়াতাড়ি আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান । পরে আমি গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। বিষয়টা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শেষ আমরা কোন ঝামেলায় না গিয়ে ভৈরব থানায় একটি অপহরণ মামলা করি।
এদিকে ছেলের বাবা আজিজ খাঁন বলেন আমার ছেলের সাথে মেয়ের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেটা জানার পর আমি আমার ছেলে কে অনেক শাসন করি, এরপর গত ১৭/৭/২০২০ইং দুপুরের পর থেকে আমার ছেলেকে ও খুঁজে পাইনা ঐ দিন বিকেলে মেয়ের বাড়ির লোকজন এক দোকান থেকে আমাকে ডেকে নিয়ে আমার উপর হামলা করেন এবং আমার একটি বংশের বাড়িতে গিয়ে ও ভাংচুর করে। পরদিন সকালে মেয়েটির একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক মাধ্যমে দেখতে পাই, মেয়ে নিজে ভিডিও বার্তাতে বলেন লোকমান খাঁনের কোন দোষ নেই, আমি নিজেই ওরে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে এসেছি এবং সে নিজের দোষও স্বীকার করেছেন। মূলত ভিডিও বার্তাটি অগ্রযাত্রার হাতেও রয়েছে।
এদিকে মেয়ের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ভিডিও রেকর্ডে যে কথা বলেছি সেটা লোকমান খানের কথা মত বলতে হয়েছে, সে বলে যদি আমার কথা মত মোবাইলে রেকর্ডে কথা না বলিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো, আমি চার মাসের গর্ববতী তাই আমার জীবন বাঁচানোর জন্য এই কথা বলি, আমি যেভাবে হোক কৌশলে চলে এসে পরে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
মামলার দায়িত্বভার নেওয়া ভৈরব থানা এস,আই,মো: মাসুদুররহমান এর সাথে মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন রসুলপুর গ্রামের একটি অপহরণ মামলা হয়েছে, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।