ভৈরবে স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে ১ম স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু
কিশোরগঞ্জের ভৈরব আগানগরের স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রী রত্না বেগম ২৬ শে জানুয়ারি বিকালে বিএমএসএফ ভৈরব শাখায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বক্তব্যে বলেন তার স্বামীর রুবেল মিয়া (৩৭) আগানগর ইউনিয়ন এর আনন্দ বাজারের নুরু মিয়ার ছেলে। আমাদের বিয়ে হয়েছে দশ বছর, বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমি ঠিক মতো স্বামীর বাড়িতে ১মাসও থাকতে পারি নাই।আমার প্রথম একটি ছেলে হয়ে মারা যাওয়ার পর আমার স্বামী এক বারের জন্যেও দেখতে আসেনি। আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে থাকতে গেলে আমার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি, ননন্দ মিলে আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো । নির্যাতনের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমার স্বামী বরণ পোষণের খরচ দেয় না। কোন খোজ খবর রাখেনা, আমার দুই সন্তান ও আমাকে দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার বাড়িতে ফেলে গেছে আমার দায়িত্ব নিবে না।এমন কী আমাকে না জানিয়ে আমার অনুমিত ছাড়া আমার স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহ করিয়াছে। মেয়ের বাবা মোঃ আয়েত আলী বলেন বিয়ের সময় ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া দেওয়া হয়েছে। সে আবার নতুন করে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছে এবং বলেছে যৌতুক না দিলে নতুন আরেকটি বিয়ে করবে যৌতুক নিয়ে।তখন মেয়ের বাবা বললেন আমরা গরীব মানুষ দিন এনে দিন খায় এত টাকা কোথায় থেকে দেবো। কিন্তু এখন আত্বীয় মারফতে জানতে পারি তার মেয়ের জামাই নতুন আরেকটি বিবাহ করেছে এবং একটি সন্তান রয়েছে। মেয়ের মা বলেন,আমরা গরীব মানুষ আমার মেয়ের দুটি সন্তান এর মধ্যে বড় নাতী শারীরিক প্রতিবন্ধী তাদের ভরণপোষণ চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না,মেয়ের জামাই রুবেল দেড় বছর যাবৎ কোন খুজ খবর নিচ্ছেনা,তাই আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ও মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে সঠিক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার চাই। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য রুবেল মিয়ার নাম্বারে বার বার চেষ্টা করলে নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।