ভৈরবে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ ও হাজী হেলুর সম্পত্তির দ্বন্দের অবসান ডিসি অফিসের সীল ও আদালতের রায় জাল অস্বীকার
শামীম আহমেদ,সম্পাদক :
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ এর সাথে হাজী হেলুর সম্পত্তির দ্বন্দের অবসান হয়েছে। ঘটনাটি দুজনের মধ্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল বলে তারা দুজনই অনলাইন পত্রিকা SAnews24bd.com কে জানান। ডিসি অফিসের সীল ও আদালতের রায় জালিয়াতির ঘটনা অস্বীকার করল মোহাম্মদ আলী কাউন্সিলর সোহাগ মিয়া। তিনি বলেন চন্ডিবের মৌজার ১৩ শতক ভূমির আরওআর দাগের মালিক আমার দাদা। এই ভূমির ৭ শতক জায়গা আমার বাবা ভূলবশতঃ খারিজ করেছিল। তারপর আমার বাবা খারিজটি বাতিল করতে ইতিমধ্যই ভূমি অফিসে আবেদন করেছেন। হাজী হেলুর কোন সম্পত্তি আমি দখল করেনি। মোহাম্মদ আলী সোহাগ বলেন, হেলু আমার নিকট আত্মীয়। তার অনুরোধে তাদের জায়গায় আমি বালু ভরাট করেছি। এখানে আমাদেরও জায়গা আছে। কাজেই জোর করে ভূমি ভরাটের অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট। আদালতের রায় জাল করেছে অন্য এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি এখন মামলায় জেলে আছে। হাজী হেলু মিয়ার কোন সম্পত্তির মামলার রায় জাল করার অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবী করেন।হাজী হেলু মিয়া এই অনলাইন পত্রিকা SAnews24bd.com কে জানান, খারিজের ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আমার বাবা সম্পত্তি কিনেছিল ভৈরবপুর এলাকার চাঁন মিয়ার নিকট থেকে। তার ছেলে আলী হোসেন খারিজ বাতিলের আবেদন করে মিসকেস করে ভূমি অফিসে। অথচ এই সম্পত্তির মালিক তিনি নন। সম্পত্তির মালিক দলিলমূলে আমরা। এসিল্যান্ড খারিজ বাতিল করে সম্পত্তিটি আমাদের নামে নামজারী করে দিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সোহাগ আমার আত্মীয়। কাজেই আমাদের মধ্য আলোচনা করে সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আমি মোহাম্মদ আলী সোহাগকে জমিতে মাটি ভরাট করতে বলেছিলাম। মাটি ভরাটের টাকা এখনও দেয়নি বলে সে রাগ করে জমিটি তার দখলে রেখেছিল। এখন জমির দখল ছেড়ে দিয়েছে।ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) হিমাদ্রি খিসা বলেন, ঘটনাটি তারা দুজনের ভূল বুঝাবুঝি হয়েছিল। ভুল বশতঃ তারা খারিজ করেছিল। এখন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ এর বাবা আবুল কাশেম খারিজটি বাতিল করতে অফিসে আবেদন করেছে। হাজী হেলু নতুন করে খারিজের আবদেন করলে তাদের নামে এই ৭ শতক ভূমি নামজারি করে দিব বলে তিনি জানান।