ভৈরব পৌরসভার মেয়রসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানি মামলা
শামীম আহমেদ :
ওয়ারিশান সনদ জালিয়াতির অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব তাবারক হোসেন নামের এক ব্যাক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে পুলিশে দেওয়ায় ভৈরব পৌরসভার মেয়র ও কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে তাবারক হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী । বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল বারী এ মামলা আমলে নেন। পরে মামলাটির তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালে ২০ সেপ্টেম্বর বাদী তাবারক হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে থানায় মামলা দেন আসামিরা। ওই মালার বাদি ভৈরব পৌরসভার প্রধান অফিস সহকারী ইমাম হোসেন। ওই সময় আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামি তাবারক হোসেনকে কারাগারে পাঠায়। ওই সময় ২ মাস ১৭ দিন কারা ভোগ করে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তি পায় তাবারক হোসেন। পরে ওই মামলার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তাবারক হোসেনকে মুক্তি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত।
করোনার কারণে বিলম্ব করে ২৬ নভেম্বর বৃহপতিবার তাবারক হোসেন কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করলে মামলাটি আমলে নেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলেন ভৈরব পৌরসভার মেয়র এডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সুলাইমান, ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর মো. আল-আমিন, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. দ্বীন ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ নিয়াজ, ভৈরব থানার তৎকালিন পুলিশের এস আই মাজহারুল ইসলাম, পৌরসভার প্রধান অফিস সহকারী ইমাম হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাদল মিয়া, লিয়াকত আলী ও আ. হেকিম।
মামলার বাদী তাবারক হোসেন জানায়, ওয়ারিশান সনদ জালিয়াতি বলে একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে দীর্ঘ দিন হয়রানি করে সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করেছে পৌর মেয়র সহ এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা। পক্ষপাত মূল আচরণ করে আমাকে এ হয়রানি করা হয়। পরে আদালতে মিথ্যা প্রমাণ হলে আজ আমি বিজ্ঞ আদালতে বিচার চেয়ে ২ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করি।
মেয়র এড. ফখরুল আলম আক্কাছ জানায়, বাদী তাবারক হোসেন একজন প্রতারক। সে আদালতে জাল ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দাখিল করে আদালতের বিচার কাজে বাধা সৃষ্টি করে ফারুক নামের এক ব্যবসায়িকে সাজা প্রদাণে সহযোগিতা করে। তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদবীরের অভাবে আদালত খারিজ করে দেয়। মেয়র হিসেবে আমি ব্যস্ত থাকি। যারা মামলা তদারিকির দায়িত্বে ছিল তারা ঘাফলতি করেছে। আদালতে দায়ের করা মামলাটি আমি আইনিভাবে মোকাবেলা করব বলে জানান তিনি।