ভয়কে জয় করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করাই একজন প্রকৃত সাংবাদিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
উপ-সম্পাদকীয়:
সাংবাদিকতা হলো শ্রদ্ধার জায়গা, আবেগের জায়গা, প্রতিমুহুর্তে ঝুঁকি নেওয়ার জায়গা। কিন্তু একজন সাংবাদিক তার ব্যক্তিত্বের জায়গায় সচেতন না হলে ‘সাংবাদিক’ শব্দটা নিয়ে অনেকে উপহাস করার সুযোগ পেয়ে যায়। শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে সাংবাদিকতা যাছায় বাছায় করা যায়না।
সাংবদিক হলো সমাজের আয়না। সাংবাদিকতা মানে কারো প্রেসরিলিজ নিয়ে দৌড়ানো নয়। এটা বিশাল জগৎ। একজন সাংবাদিক একজন গবেষকও বটে। সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা দিক নিয়ে অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিভঙ্গি যেমন তার থাকা উচিৎ তেমনি নিজ নিজ জায়গা থেকে কথা বলার সৎসাহসও থাকবে হবে।
একজন সাংবাদিক গ্রেফতার হবে, একজন সাংবাদিকের উপর হামলা হবে, একজন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হবে, একজন সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হবে, অ্যাসাইনমেন্টে গিয়ে হয় পুলিশের লাঠির আঘাতে বা পিকেটারের পাথরের আঘাতে আহত হবে, বাসায় হামলা হয়ে খুন হবে, এরকম অনেক ঘটনাই একজন সাংবাদিকের জীবনে ঘটতে পারে। যে সাংবাদিক হয়েছে সে এটা জানে। জেনে শুনেই একজন সাংবাদিক ভয়কে জয় করে সাংবাদিকতা করে বরং এটাও তার ক্যারিয়ারের বড় একটা প্রাপ্তি।
আমার কাছে সাংবাদিকতা হলো, দেশ ও জাতির পক্ষে লিখুনির মাধ্যমে কথা বলা। অসহায় নিরীহ নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করা। ঘুষ-দূর্নীতি, মাদক, খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি, ডাকাতী, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, জবর দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সমাজ থেকে বিতারিত করতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সমাজকে সহযোগীতা করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা। ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ বলা। অর্থের লোভে ও কারোর প্ররোচনায় পরে কারোর ক্ষতি না করা। ক্ষমতার কাছে মাথানত না করে কাজ করা। নিজেকে বড় সাংবাদিক দাবী করে ক্ষমতার অপব্যবহার না করা।
আসুন এক হয়ে কাজ করি দেশ ও দশের জন্য কলম ধরি, মানবতার সেবায় কথা বলি।
মুহাম্মদ কাইসার হামিদ
সংবাদ কর্মী
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ ।