সুইসাইড
২০১৮ এর শেষ সময়টা থেকে শুরু করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আমার জীবন চরম ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল।
আমি সুইসাইড করিনি। করোনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা আমার কোনো সাহসিকতার পরিচয় নয়।সে আল্লাহর দয়া মাত্র।
লাশ হয়ে গিয়েও আবার জীবন্ত হওয়া আমার সাহসিকতার পরিচয়।
হ্যাঁ আমি সাহসী।আমি লড়াই করেছি।আমি বেঁচে আছি,এবং খুব ভালভাবে বেঁচে আছি।❤
সুইসাইড কোনো সমাধান নয়।খারাপ সময়ের পর ভালো সময় আসে এই বিশ্বাস নিজের মধ্যে আনতে হবে।ধৈর্য ধরতে হবে।জীবনে উত্থান পতন থাকবেই।
সুইসাইড থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প কিছুই হতে পারেনা।তাই নিজের সন্তান,ভাই-বোনকে ধর্মীয় দিকটির স্পষ্ট ধারণা দিন।
যাদের মুখে হতাশামূলক কথা শুনবেন তাদের এড়িয়ে যাবেন না।যাদের টাইমলাইনে,স্টোরিতে কষ্টের এবং হতাশামূলক পোষ্ট দেখবেন তাদেরকে প্রয়োজনে নিজে থেকে এস এম এস বা কল দিয়ে খোঁজ নিবেন।মোটিভেশনাল ২/১ টা কথা বলবেন।তাদের পাশে আছেন সেটা বুঝাবেন।সুইসাইড করার আগ মূহুর্তে মানুষ একটুখানি সাপোর্টই চায় সবার কাছ থেকে।
যারা সুইসাইড করে মারা যায় তাদের প্রতি কখনোই সহানুভূতি দেখাবেন না।সহানুভূতি দেখাবেন সুইসাইড করার আগে।
সুইসাইড যখন করবে কেউ প্রচন্ড ঘৃণা প্রকাশ করবেন তার প্রতি।সুইসাইড এর মত নিকৃষ্ট কাজ সহানুভূতি পাওয়ার যোগ্য না।সুইসাইড এর বাজে দিকগুলো তুলে ধরবেন আপনার কথা বা পোষ্ট এর মাধ্যমে।
তখন যারা সুইসাইড করবে ভাবে তাদেরও হয়তো দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে এটি দেখে।হয়তো তারাও ফিরে আসতে পারে এই পথ থেকে।বেঁচে যেতে পারে একটি প্রাণ।
আমার জীবনে এখনো শত ভাগ সুখ নেই।কারো জীবনেই থাকেনা।তবে আমি বিশ্বাসী।সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জীবন।জীবন হলো যুদ্ধক্ষেত্র।আর যুদ্ধ কখনো সহজ হয় না।কঠিন পরিস্থিতি সবসময় থাকেনা।সময় সব ঠিক করে দেয়।অপেক্ষা করতে হয়,অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়,সবুরে মেওয়া ফলে এই কথাগুলো শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে দয়া করে সবাই মনে ধারণ করার চেষ্টা করুন।নিজের বাস্তব জীবনে কাজে লাগান।
সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন।❤
লেখক: Halema Tuj Snigdha
মানবতার ফেরীওলা।